খুঁজুন
সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬ মাঘ, ১৪৩১

জুনিয়র এশিয়া কাপ হকিতে পঞ্চম স্থান নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ
জুনিয়র এশিয়া কাপ হকিতে পঞ্চম স্থান নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ

জুনিয়র এশিয়া কাপ হকি চীনকে হারিয়ে পঞ্চম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জুনিয়র হকি দল ২০২৪ সালের জুনিয়র এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টে চীনকে ৬-৩ ব্যবধানে পরাজিত করে পঞ্চম স্থান নিশ্চিত করেছে। এই জয় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন, বিশেষ করে যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করার পর। জুনিয়র এশিয়া কাপের এই সাফল্য বাংলাদেশ হকি দলের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হচ্ছে, যা তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও হকি মঞ্চে আরও দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করবে।

ম্যাচের বিবরণ

বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিটি মুহূর্তে নাটকীয়তার সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা প্রদর্শন করেন, যা চীনের বোলিং ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জে ফেলে। বাংলাদেশ দলের স্ট্রাইকাররা প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে চীনের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে এবং ৬টি গোল স্কোর করে।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যেমন আক্রমণাত্মক খেলা দেখিয়েছেন, তেমনি তাদের ডিফেন্সও ছিল শক্তিশালী। চীনের আক্রমণ প্রতিহত করতে তারা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন, এবং শেষ পর্যন্ত এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য তারা জয় লাভ করে। চীনের দল চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিরোধের কাছে পরাজিত হয়।

বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন

এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জুনিয়র হকি দল যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য নিশ্চিতভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটি বাংলাদেশের হকি ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ এর আগে এত বড় কোনো আন্তর্জাতিক হকি টুর্নামেন্টে যুব বিশ্বকাপের জন্য টিকেট পাওয়া সম্ভব হয়নি। দলটি এখন বিশ্ব মঞ্চে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বাংলাদেশের হকি প্রেমীদের জন্য এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক দিক।

প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স

বাংলাদেশ দলের হয়ে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষত, দলের অধিনায়ক এবং মিডফিল্ডারদের পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসনীয়। তাদের আক্রমণাত্মক কৌশল ও সঠিক সময়ে গোল করা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দলের গোলকিপারও বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন এবং তার দায়িত্বশীলতার কারণে বাংলাদেশের জয় সম্ভব হয়েছে।

দলের ভবিষ্যত পরিকল্পনা

এই সাফল্যের পর বাংলাদেশের হকি দলের কোচ এবং কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে আরো উন্নত এবং শক্তিশালী খেলোয়াড় তৈরির জন্য কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশের হকি খেলার মান আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, এবং জুনিয়র হকি দলের তরুণদের সামনে এই জয় একটি উৎসাহের প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

এভাবেই বাংলাদেশ জুনিয়র হকি দল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে নিজেদের সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিশ্বের হকি মঞ্চে তাদের স্থান আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।

পাবনায় শস্য কর্তনের ধুম: নবান্ন উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন শুরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
পাবনায় শস্য কর্তনের ধুম: নবান্ন উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন শুরু

পাবনায় শস্য কর্তনের ধুম: নবান্ন উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন শুরু - কাশিনাথপুর

পাবনা সদর, পাবনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আমন মৌসুমের নমুনা শস্য কর্তন ও নবান্ন উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৮.৩০ টায় পৈলানপুর টেকনো পার্ক কৃষি খামারে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব উদযাপন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জামাল উদ্দীন। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ শৈলেন কুমার পালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. রেজিনূর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহফুজা সুলতানা, এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ

প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা আমন মৌসুমের ব্রি ধান৮৭ জাতের নমুনা শস্য কর্তনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন। এরপরে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পাবনা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কুন্তলা ঘোষ।

আলোচনা সভার মূল বিষয়বস্তু

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাবনা জেলা দেশের অন্যতম কৃষি সমৃদ্ধ অঞ্চল। এ জেলার উৎপাদিত কৃষিপণ্য স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের খাদ্য চাহিদা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বক্তারা আরও জানান, জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন শস্যের বীজ, রাসায়নিক সার এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

নবান্ন উৎসব ও পিঠা মেলা

শস্য কর্তন শেষে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে নবান্নের পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। পিঠা উৎসবটি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষক ও অতিথিদের মধ্যে উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, কৃষি তথ্য সার্ভিসের সহকারী তথ্য অফিসার কৃষিবিদ মো. খালেদীন আনামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই আয়োজনের মাধ্যমে কৃষি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে পাবনার শস্য উৎপাদনের ঐতিহ্য এবং নবান্ন উৎসবের আবহকে তুলে ধরা হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বর্জ্য ছিনতাই: তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বর্জ্য ছিনতাই: তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প - কাশিনাথপুর

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের (আরএনপিপি) বর্জ্য বহনকারী ৫টি ট্রাক লুট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাংলা পাওয়ার কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. রানা ফকির দেড় লাখ টাকার ক্ষতির দাবি করেছেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঘটেছে বলে জানা গেছে।

মালিকের অভিযোগ

রানা ফকির জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রূপপুর প্রকল্পের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার হিসেবে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে আসছেন। ঘটনার দিন প্রকল্প এলাকা থেকে ৫টি ট্রাকে কাঠের টুকরোসহ অন্যান্য বর্জ্য বোঝাই করে ভেড়ামারা ডাম্পিং এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সুমন ওরফে আমেরিকান সুমনের নেতৃত্বে একটি দল ট্রাকগুলো আটক করে। তারা ট্রাকগুলো প্রকল্প সংলগ্ন কেন্দ্রীয় গোরস্থানের পাশে নিয়ে গিয়ে মালামাল আনলোড করে নিয়ে যায়।

রানা ফকির আরও বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে রূপপুর প্রকল্পের বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে যুক্ত। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এই লুটপাটে আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় থানায় মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।” তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় প্রকল্প এলাকায় তার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

অভিযুক্তের বক্তব্য

অন্যদিকে অভিযুক্ত তানভির হাসান সুমন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলা পাওয়ার কোম্পানির স্বত্বাধিকারী রানা ফকির উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। আমি এই ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানতাম না। পরে রানা ফকিরই আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। এরপর আমি বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। এখন আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে।”

পুলিশের প্রতিক্রিয়া

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, “এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। সেখানে এমন একটি ঘটনা ঘটায় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, এমন ঘটনা প্রকল্পের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং ভবিষ্যতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।

প্রকল্পের গুরুত্ব ও নিরাপত্তা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই প্রকল্প থেকে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে বড় ধরনের অবদান রাখার আশা করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকল্পের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় বড় প্রশ্ন তুলেছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

উন্নয়নের পথে বাধা?

এ ধরনের ঘটনা শুধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো প্রকল্পের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বর্জ্য ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তার কারণ। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এ ধরনের ঘটনা প্রকল্পের সুষ্ঠু পরিচালনায় আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

স্মৃতি থেকে সাফল্য, প্রাক্তনদের যে ঐক্যের ডাক দিলো কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
স্মৃতি থেকে সাফল্য, প্রাক্তনদের যে ঐক্যের ডাক দিলো কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন

কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি ঃ আর যে ফারুক

কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি অত্র অঞ্চলের শিক্ষা জীবনের ভিত্তি তৈরির মঞ্চ। এই বিদ্যালয় কাশিনাথপুরে  শিক্ষার ভিত্তি গড়ে দিয়েছে এবং বহু প্রাক্তনীকে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হতে সাহায্য করেছে। এই বিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য এই অঞ্চল কে গর্বিত করে।

বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করা, স্মৃতিকে সযত্নে ধারণ করা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার উদ্দেশ্যে এবং প্রাক্তনী আবেগকে শক্তিতে রূপান্তর করতে “কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন” প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই সংগঠন শুধু স্মৃতি রক্ষার জন্য নয়, বরং একে অপরকে সহযোগিতা করার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

এমন উদ্দ্যশ্য নিয়ে প্রাক্তনদের নতুন ভাবে সহযোগিতার ডাক দিয়েছে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী এডমিন প্যানেল।

ফেসবুক থেকে লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো ঃ

আসসালামু আলাইকুম,

অত্র স্কুলের সাবেক ও বর্তমান সকল ছাত্র/ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সকলের মতাতম আশা করছি।
কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়,পাবনা জেলার এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড এর অন্যতম মাধ্যমিক স্কুল এবং এর পরিচিতি সারা বাংলাদেশে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে সুনামধন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক পরিচিতি আছে।
আমার স্বল্প জানা অল্প পরিচিতি আর সিনিয়র জুনিয়রদের কাছে থেকে শোনা কথা অনুসারে ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু সংখ্যক সাবেক ছাত্র-ছাত্রী প্রশাসনের উচ্চ পদ সহ প্রশাসনের সকল স্তরে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান , সামরিক বাহিনী, মিডিয়া, প্রবাসী,রাজনীতি, ব্যবসা-বানিজ্য সহ বিভিন্ন পেশায় সুনামের সাথে থেকে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে এখন অবধি বিভিন্ন মেধা পরীক্ষায়ও যোগ্যতার প্রমান রেখে চলছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পদক প্রাপ্তি ও পদবীতেও অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এই অবস্থায় এই বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র হিসাবে আমি ও আমরা গর্বিত ।
আর এই বিদ্যালয়ের স্মৃতি আমাদের সবার কাছেই আবেগের জায়গা। এই আবেগের জায়গা থেকেই প্রতি বছর বিভিন্ন ব্যাচ বিক্ষিপ্ত ভাবে ইফতার, রি-ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকেন এবং সবাই নিজেদের ব্যাচের ভিতর যোগাযোগের পাশাপাশি ১/২ আগের বা পরে ব্যাচের সাথে কিছুটা যোগাযোগ থাকে।
কিন্তু দেখা যায় আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠানে যাই যেখানে আমাদেরই কেউ আছে অথচ আমরা জানিই না। তাই অনেকের মাঝে কথা থাকে যদি সবাইকে না হলেও যতটুকু সম্ভব সবার ভিতর পরিচিতি বাড়ানো যেতো যদি উপায় থাকতো সংশ্লিষ্ট জায়গায় আমাদের কেউ আছে নাকি।
সেই জায়গা থেকেই সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ভাই বোনদের সাথে পরামর্শ করে আমরা সাবেক কয়জন ছাত্র মিলে Kashinathpur A L High School Alumni Associationএই গ্রুপ খোলা ।
আপনার খেয়াল করেছেন আমাদের আশে পাশেরই অনেক বিদ্যালয় আমাদের অনেক পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েও নিয়মিত সাবেকদের নিয়ে পুনর্মিলনী সহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে এতে তাদের মধ্য বন্ধনও দৃঢ় হয় আবার যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগীতা নিতে পারে। এসব বিষয় কে সামনে রেখেই আমরা গ্রুপ টি খুলি এবং অনেক গুরুত সহকারে গ্রুপ টি পরিচালনা করছি। সবাই সবার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাচ্ছি।

যেসব লক্ষ্যে আমরা গ্রুপটি পরিচালনা করছি:

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা। (অনলাইন পেজে)

অফিসিয়ালভাবে এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা।

এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর মাধ্যমে প্রতি বছর সকল ব্যাচের সম্মিলিত পুনর্মিলনী, পিকনিক, ইফতার মাহফিল বা প্রীতি খেলার আয়োজন করা।

এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর সকল সদস্যদের আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে মেধাবীদের সংবর্ধনা এবং মেধা বৃত্তির আয়োজন করা। দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর লেখাপড়ার ব্যাপারে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করা।

সবার প্রচেষ্টায় যোগ্যদের চাকরি বা টিউশনের ব্যবস্থা করা। রক্তের যোগান দেয়া, অতি দরিদ্রদের সহযোগিতা করা ছাড়াও বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজ করা।

স্কুলের গুটি কয়েক সাবেক ছাত্র/ছাত্রীদের ভালোবাসায় কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় সাফল্যে পৌঁছাতে আমরা দৃঢ়।

ধন্যবাদান্তে,
স্বেচ্ছাসেবী এডমিন প্যানেল

error: Content is protected !!