পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের একটি শাখার ভল্ট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাতে, যখন ব্যাংকের নিয়মিত নিরাপত্তা চেকের সময় উপস্থিত কর্মচারীরা ভল্টে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ কম থাকতে দেখে। সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, কোনো বাহ্যিক প্রমাণ ছাড়া টাকা গায়েব হয়ে গেছে।
জেলা পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সূত্র জানায়, ভল্টের ভিতর থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকার কোনো একটি অংশ বা পুরো টাকাই উধাও হয়ে গেছে। বিষয়টি প্রথমে সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার খেয়াল করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবহিত করেন। ঘটনার পর পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তে নেমেছে। এখনও পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, তবে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনার ক্লু খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এদিকে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। তাদের দাবি, ভল্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কোনো ধরনের অবৈধ প্রবেশাধিকার ঘটেনি। তবে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা পুলিশ জানায়, এ ঘটনাটি খুবই অস্বাভাবিক এবং তদন্তে অনেক সময় লাগতে পারে। তবে তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা হবে এবং যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হবে।
ব্যাংক কর্মচারীদের মধ্যে এই ঘটনার পর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যারা নিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি অভ্যন্তরীণ কাজে হতে পারে, কারণ এত বড় পরিমাণ টাকা গায়েব হওয়ার পেছনে বাহ্যিক কোনো চুরির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাপারে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে, এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, সে জন্য ব্যাংকগুলোকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।